চন্দ্রাহতের
কফিনে
১
হাওয়াবদল করে নিচ্ছি মুখোশের ভেতর
যতটুকু অনুভব রেখে গেছো রন্ধ্রে রন্ধ্রে
বুক খুলে উড়িয়ে দিচ্ছি নিরালা রাতে
আসলে পরোক্ষে ডুবে যাচ্ছি নীল অসুখে
২
আঙুল থেকে গড়িয়ে নামছে পলাশপরাগ
শীতকুয়াশায় মেপে দেখি স্মৃতির ঘনত্ব
চোখের সামনে ফুটে ওঠে যেসব ছবি
তাদের রং মিলিয়ে তৈরী করি কাব্যমদ
৩
আঁধারের মাঝে নিজস্ব আঁধার খুলে রাখি
এক নেশা দিয়ে ভুলে থাকি আরেক নেশা
নিষ্ফলা দিন ও রাতে আর কিছু নেই
শুধু মায়া-উড়ান আর মৃত স্বপ্নের শাসন
দুর্যোগের হিমবাহগুলো ঠেলে এগিয়ে আসতেই
বিন্দু বিন্দু সংগ্রহ এক অতিপ্রাকৃত মায়াঘোর হয়ে
স্নিগ্ধ ঢেউ তোলে সোহাগজলে ৷
প্রশ্নের ভেতর আরও প্রশ্নের অম্লমধুর মাদকতা ৷
আত্মদ্রোহের কেন্দ্রে কি নিস্পৃহভাবে উপভোগ করি
সম্ভাবনা আর অসম্ভবের বজ্রকঠিন সহবাস !
স্নায়ুর আলো নিভিয়ে তখন ডুবে যাই
অ-মকদুর সংসর্গের নিরাকার এক পুণ্যমঞ্জুষায় ৷
রাত ও আমার মাঝে
পঙ্গু মুহূর্তগুলো এসে দাঁড়ালেই শূন্য ঘরখানি
অপরাধবোধ নিয়ে মশান হয়ে যায় ৷
সময়ের কণায় কণায় লিখেছি
হাজার পতনঘেরা এক পতনবিমুখ পতঙ্গের সন্তাপ-তপস্যা ৷
বাউল মনে ধস নামে দিনরাত, দিনরাত
একাকার হয়ে পাখিমন উড়ান ভরতে চায় মুয়াফির মরুদ্যানে ৷
আর কিছু নয়, এটুকুই তো সাধ, সবিনয়...
ধরা দেয় না, ধরা যায় না, দীর্ঘায়িত হয় রুদ্র অনুতাপ ৷
সন্ধ্যাবিষাদ
সন্ধ্যায় হাঁটার ছলে
মেপে দেখি
কতটুকু বাকি আছে সন্ধ্যাবিষাদ
৷
সিগন্যালের আলোবদলে
পাথর হই ,
ভাবি , জীবনেও একটা
সিগন্যাল থাকলে
ঠিক সময়ে বদলে নিতে
পারতাম নিজেকে ৷
অপ্রকাশিত ব্যথা লুকোই
ক্লান্তিতে ;
তুমিও কি সন্ধ্যা
হলে ভিজে যাও বেদনামিশ্রিত ?
No comments:
Post a Comment