Monday 9 April 2018

সুমন মল্লিক







চন্দ্রাহতের কফিনে   



হাওয়াবদল করে নিচ্ছি মুখোশের ভেতর

যতটুকু অনুভব রেখে গেছো রন্ধ্রে রন্ধ্রে

বুক খুলে উড়িয়ে দিচ্ছি নিরালা রাতে

আসলে পরোক্ষে ডুবে যাচ্ছি নীল অসুখে



আঙুল থেকে গড়িয়ে নামছে পলাশপরাগ

শীতকুয়াশায় মেপে দেখি স্মৃতির ঘনত্ব

চোখের সামনে ফুটে ওঠে যেসব ছবি

তাদের রং মিলিয়ে তৈরী করি কাব্যমদ



আঁধারের মাঝে নিজস্ব আঁধার খুলে রাখি

এক নেশা দিয়ে ভুলে থাকি আরেক নেশা

নিষ্ফলা দিন ও রাতে আর কিছু নেই

শুধু মায়া-উড়ান আর মৃত স্বপ্নের শাসন


 অধরা সাধ   

দুর্যোগের হিমবাহগুলো ঠেলে এগিয়ে আসতেই
বিন্দু বিন্দু সংগ্রহ এক অতিপ্রাকৃত মায়াঘোর হয়ে
স্নিগ্ধ ঢেউ তোলে সোহাগজলে ৷

প্রশ্নের ভেতর আরও প্রশ্নের অম্লমধুর মাদকতা ৷
আত্মদ্রোহের কেন্দ্রে কি নিস্পৃহভাবে উপভোগ করি
সম্ভাবনা আর অসম্ভবের বজ্রকঠিন সহবাস !
স্নায়ুর আলো নিভিয়ে তখন ডুবে যাই
অ-মকদুর সংসর্গের নিরাকার এক পুণ্যমঞ্জুষায় ৷

রাত ও আমার মাঝে
পঙ্গু মুহূর্তগুলো এসে দাঁড়ালেই শূন্য ঘরখানি
অপরাধবোধ নিয়ে মশান হয়ে যায় ৷
সময়ের কণায় কণায় লিখেছি
হাজার পতনঘেরা এক পতনবিমুখ পতঙ্গের সন্তাপ-তপস্যা ৷
বাউল মনে ধস নামে দিনরাত, দিনরাত
একাকার হয়ে পাখিমন উড়ান ভরতে চায় মুয়াফির মরুদ্যানে ৷

আর কিছু নয়, এটুকুই তো সাধ, সবিনয়...
ধরা দেয় না, ধরা যায় না, দীর্ঘায়িত হয় রুদ্র অনুতাপ ৷


সন্ধ্যাবিষাদ   

সন্ধ্যায় হাঁটার ছলে মেপে দেখি
কতটুকু বাকি আছে সন্ধ্যাবিষাদ ৷

সিগন্যালের আলোবদলে পাথর হই ,
ভাবি , জীবনেও একটা সিগন্যাল থাকলে
ঠিক সময়ে বদলে নিতে পারতাম নিজেকে ৷

অপ্রকাশিত ব্যথা লুকোই ক্লান্তিতে ;
তুমিও কি সন্ধ্যা হলে ভিজে যাও বেদনামিশ্রিত ?



No comments:

Post a Comment