Tuesday 10 April 2018

মনোনীতা চক্রবর্তী




বালি


রুমালে অনটন...
কথার সুখে   বেজান চোখ,  উঠে বসে চিতার বুক চিড়ে
প্রাণের কৌটোভরা মিথিলা নগরী আর আর নূপুরের খনক
রোজ নতুনকরে ইতিহাস লেখে
তাকে বলেছিলাম  পড়ে দেখতে ।
আনাড়ি মেঘ দৃশ্যে জল ঢেলে দেয়
বিশদৃশ ভুলে ছায়া আঁকা যে-তুলি,
সে জানবে কী করে এখন সময়ের আল আর বাঁক 
গোপন আঁকে নিরালায় প্রতিটি   বিস্ময় টপকে!
অগণিত তারার বাগান কীভাবে দরবারি সাধে
কেমন করে জানবে  সেই বুদ্ধবাণী আওড়ানো ভিক্ষু?
কেউ জানে না বসন্তের মৃত্যু হলে থমকে যায়   কুহুরঙ
ধেবড়ে যায় সেই রঙ, কাজলের মতো দেখতে যে
অবিন্যস্ত মায়া, সাথী আঁকে  বেশরম্ বাতাস
শৈল-ন্যুব্জ হয় জীবন-শৈলীর  জমা ঘামের  তীক্ষ্ণ বিন্দুতে
দেখা হয় না আলো-ছায়ার  মিহি সেলাই-কারুকাজ
অপেক্ষার চোখ কথা বলে না 
গান থেমে যায়, ঘরের মায়ায়...

No comments:

Post a Comment