শূন্য
বিষন্নতা
মেঘ
গুনতে গুনতে একদিন শূন্যের ঘর অব্দি পৌঁছে গেলাম, তবু বৃষ্টির ধারাপাত খুঁজে পেলাম
না। হাঁটতে হাঁটতে রামধনুর শতকিয়াতে পৌঁছে যাই।
সাতটা
রঙকেই হাত ধরে জিজ্ঞেস করলাম মেঘের বাড়ি কই।
না,
কেউই উত্তর দিতে পারলো না। হতাশ হয়ে বসে রইলাম... হঠাৎ এক চিলতে বিবর্ণ রঙ,তার
আসল বর্ণ চেনা যায় না, গায়ে প্রাচীন মেঘেদের ঝুল, চেহারাটা বনেদি বাড়ির
ভগ্নস্তুপ অর্থাৎ অতীত গরিমা কোথাও এখনও উঁকি দেয় বর্তমানের জীর্ণতায়, সে
গুটিসুটি হয়ে আসা চামড়া সম্বলিত হাতটা বাড়িয়ে কাছে ডাকলো।
জিজ্ঞেস করলো, মেঘের
বাড়ি কে আছে লো তোর।
আমি
বল্লেম, মেঘের বুকে যত্নে ঘুমায় বৃষ্টি, আমি সেই বৃষ্টিকে চাই আসলে।
সে
বল্লে তুমি কি কবি?
আমি
বল্লাম হ্যাঁ। আমার বুকে একরাশ মরুবালি,কোন সজীব অনুভূতি নেই। তাই আজ একটু খানি
বৃষ্টিকণা ধুয়ে দিক ধুলো বালির চাদর। বৃষ্টি আসুক, বৃষ্টি আসুক, মাটি থেকে আবার
উঠুক সোঁদা গন্ধ, সেই গন্ধের ভিতর ডুবে আবার নতুন করে সতেজতা পাব, আবার নতুন কিছু
লিখবো।বৃদ্ধ উঠে গেল প্রাত্যহিক কাজে। আমি আবারও হাঁটতে শুরু করলাম মেঘের দেশের
খোঁজে।
অবশেষে
যেদিন বৃষ্টির দেশের পা রাখি দেখি আমার কলম কোথায় হারিয়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment