দু'টি কবিতা
প্রতিটি নূপুর জানে
প্রতিটি নূপুর জানে খোলা পায়ের অন্তরঙ্গ কথা
সে পায়ে মাড়িয়ে দিয়ে চলে যেতে পারো গো প্রেয়সী
পূবালী হাওয়ায় উড়ে আসা এই রিনিঝিনিঝিনি
পায়ে ছুঁয়ে দিয়ে তুমি এ জীবন সার্থক করো
হৃদয়-স্পন্দন তাই তোমারই নৃত্যমুদ্রা পেল
তুমি থেমে গেলে যেন থেমে যাবে সৃষ্টি-স্থিতি-লয়
প্রণয় প্রমাণ এই উঠোনে শুকিয়ে যাওয়া জলে
কতো অশ্রুপাত কতো রক্তপাত নূপুর নিক্বণ
তোমারই করুণা পেয়ে সমগ্র জগত তাতে ধ্বনিত হয়েছে
প্রতিটি নূপুরে বেজে ওঠা স্পর্শদাগ খুঁজে খুঁজে
আমি অবশেষে সেই পায়ের সন্ধান পেয়ে গেছি
আমি অবশেষে আজ এসে গেছি তোমার উঠোনে
নৃত্যের মুদ্রার সাথে উঠোনের যে কোনও আঁতাতে
প্রতিটি নূপুর জানে পায়ে কাঁটা বিঁধেছিল কিনা...
সম্পর্কে আসলে মুক্তি
যে সমস্ত ভাব আর আড়ির ভেতরে
দু'জনের আসা-যাওয়া লিখেছে নিয়তি
এসে তো যায় না তারা-- থাকে, শুধু থাকে
সেখানে কমার দিকে দূরত্বের গতি
গতির অপর দিকে স্থির থেমে থাকা
স্থিরতায় মেঘ নেই ভাসে সূর্যালোক
বন্ধুত্ব বা প্রেম শুধু এটুকু চেয়েছে--
এই স্পর্শটিকে খুব যত্নে রাখা হোক
মাঝে মাঝে খুলে দেখা ফের বাঁধা গিঁটে
সম্পর্কে আসলে মুক্তি, বন্ধন তো নেই
সম্পর্ক তো খুলে রাখা প্রকৃত আকাশ
সে আকাশে মন আসে উড়ে বেড়াতেই
কখনও বিশ্রাম নেয় আশ্রয়ের খোঁজে
সহজ সম্পর্ক সেটা চিরকাল বোঝে...
ভালো লাগল।
ReplyDelete