Saturday 7 April 2018

যশোবন্ত বসু






শয়তানতন্ত্র

বড়,মেজো,সেজো  শয়তানরা নানা কিসিমের হয়। তাদের বাবাও থাকে একাধিক। সেই বাবাদের সঙ্গে শয়তানরা কাজে-অকাজে নিখুঁত যোগাযোগ রেখে চলে। এর পেছনে অনেক অংক আছে। আর এই অংকগুলি কখনই ভুল হয় না বলে শয়তান ছুঁলে বাহাত্তর ঘা। শয়তানদের গুরুদেবরা নিপুণ বীজমন্ত্রে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন ঝোপ বুঝে কীভাবে চমকাতে হয়, পথেঘাটে টাঙিয়ে রাখতে হয় দাপট ও বিভীষিকা।
এইসব বিলিবন্দোবস্তের জোরেই ধোপদুরস্ত সভাসদ, খাকি রঙের দাসদাসী শয়তানের বন্ধু, শয়তানের সেবায় নিবেদিত প্রাণ। এমন ব্যবস্থাপনায় অবধারিত মাথা নুয়ে আসে।
  যদি না আসে, যদি জল মাটির অনুগ্রহ তোয়াক্কা না-করেই সজীবতায় পল্লবিত হয় গাছ, তার জিনা হারাম করে দেবার বিষও এই গণতন্ত্রেই রয়েছে।


মজলিশ

আমরা যারা বুঝতে পারিনি কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, ঠিক তেমনই বুঝছি না কোন্ মশা কোথায় কামড়াবে। আমরা যারা সভাধিপতির ব্যাগ বইনি, মেয়রকে ডাকিনি মামা বা মামাশ্বশুর,  যাদের অদৃষ্টের আধার কার্ড লিঙ্ক করা নেই নির্ঝঞ্ঝাট নিরাপত্তায়, তাদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের ভাগ্য ভাল যে, তারা আর কিছু নাই পাক, মিডিয়ার আলো পেয়েছে !  জমে উঠেছে সান্ধ্য মজলিশ। যে-রিপোর্টের রাত আর কোনওদিনই ফুরোবে না, সাফসুতরো হবে না নিয়তি, তার দু:খে কাঁদার মতো শেয়াল কুকুরও নেই, একি কম পাওয়া ?
তরজার কোনও দায় নেই শুশ্রূষা দেবার।প্রচারের টকমিষ্টি, কোন্দল ও কর্তব্যবিমুখ মূঢ়তা প্রাণপণ বাজে
  যে-ডিস্ক জকির হাতে, সেই মক্কেল বিলক্ষণ জানে, একবার স্নায়ু অবশ করে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে ! তখন জিভের সাধ্য কী যে, অধিকার উচ্চারণ করে  ? 
আর প্রতিবাদ তো ছেঁড়া ঘাস !
কাজেই, আজকেও যে বেঁচে আছি, এটাই খবর !


2 comments: