Saturday 7 April 2018

তৃণা চক্রবর্তী



তিনটি কবিতা



পারিজাত

গভীর কোনও শোক থেকে উঠে এসেছ
সারা গায়ে ফোঁটা ফোঁটা বিস্মৃতি

আমার কোনও বিগত নেই
উত্তরের জানলায় দাঁড়িয়ে থাকা একটা মার্চ মাস ছাড়া
আমার আর কোনও আসবাব নেই

যখনই ঘুরে দাঁড়াতে চাই
দেখি, তোমার কোটের নীল বোতাম থেকে
নেমে আসছে শীতকাল... বুনো ঘাসের গন্ধ





উজাড়

কী জমিয়ে রাখছ ? ব্যবধান...

হাসিগুলো খরচ হয়ে যাবে একদিন
সমস্ত রাস্তায় ছড়িয়ে পড়বে তার অমলিন শব্দ

সাদা ত্বকের নীচে কীভাবে চাপা পড়ে আছে একটা শহর
এতদিন হয়ে গেল
নীলচে শিরার রুটম্যাপ ধরে হাঁটি
বহু বছরের ধুলোবালি, মরুঝড়, শার্টের নীচে রঙিন জখম
হাওয়ার গায়ে লাগে মেঘদূত বালক বয়স

এসব সিম্ফনি নিয়ে সন্ধের ব্যালকনি হয়ে বসে থাকা দিন
অন্ধ পাখির ঠোঁটে দু-একটা হলুদ কথা বেজে উঠে মিলিয়ে যায়

আর শেষ বিকেলের রোদ বাতিল করে দেয় যাবতীয় শর্ত 




অপারগ  

তোমার হাতে নেই কিছু আর

সেইমতো মিথ ভেঙে ছড়িয়ে পড়ছে ধান
উৎসবের শেষ ও শুরুর মাঝ বরাবর প্রস্তুত দক্ষিনের রাস্তা
বন্ধ দরজার শ্বাস ঠেলে
দেওয়ালে থমকে আছে তোমার বয়ঃসন্ধি

তুমি রিস্টওয়াচ দেখছ
দেখছ, মানুষ মরে যাওয়ার খবর
সহজ প্রোটোটাইপ মুখের ভিড়
অবাধ্য হলুদ পাতার স্তুপে পড়ে আছে পুরনো অচল কয়েন
পাশে টায়ারের দাগ

তুমি টাইমটেবিল দেখছ
অথচ তোমার হাতে নেই এখন আর কিছুই

অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন এসে পড়ছে হঠাৎই










No comments:

Post a Comment