Monday 9 April 2018

অরণ্যা সরকার






চিহ্নের কাছে ফিরো না এখন

কোথাও কোন দাঁড়ি নেই জেনে, ফিরে যাওয়া প্রশ্রয় ঘিরে ধরে
গোলকিপার মস্তি পাঠায়
ফুটে ওঠাদের তেমন কোন তাড়া নেই আর
রিল্যাক্স, রিল্যাক্স পুতুল
সুতোরাও আঙ্গুলের পূর্বরাগে নেই
খেলা ধীর, খেলা তুলতুলে, খেলা কলসপত্রী মায়া---

আলগা হতে হতে ছিঁড়ে ঝুলছে আলো
আলোর থেরাপি ধরে কাটা ঘুড়ি
পেকে ওঠা নির্ভরতায় ঝিমিয়ে নিচ্ছে দুপুরের ছাতা
জিরোও, জিরোও এবার মাথার  বন্দিশ
খেলা ইচ্ছে, খেলা ধূর্ত, খেলা গানের বিজন...  

ফর্মাবন্দী অসুখেরা গড়িয়ে নামছে
রোদের আলস্যে খুলে রাখছে নাকছাবি, দোপাট্টা জ্বর
সমঝদার গল্পে এবার তবে বাজানো যেতে পারে
আমাদের নির্জন পাথরের দিন গুজরান
খেলা, মৃদু,  খেলা অর্জন,  খেলা বাদকের নিপুণ সাঁতার---





হৃদকুসুম

শেষের দিকে যেতে যেতে গলিটা একবার পেছন ফিরে তাকালো। বাড়িমুখো বাতাস আড্ডার  শেষটুকু ফেলে গেল বন্ধ দোকানের শাটারে। দুটো মুখের মধ্যে যে উজবুক দেখভাল, বুঝলো না কিছুই। শুধু ভেবলে গেল দীর্ঘ ভূগোলবোধ। ধরা যাক গলিটার ফিরে তাকানো আর বাতাসের প্রস্তুতি ধর্মান্তরিত স্বস্তি পেয়েছিল খানিক। যুক্তাক্ষরের আঠা পেয়েছিল আর বলেছিল শেষ পাতা, এভাবেই থাকো কিছুদিন  
তবু এক ঝিঁঝিঁ ডাক স্বরবর্ণ দিনের দিকে হাঁটে। সভ্যতা নিংড়ানো আগুন জেনে যায়, ক্ষিধের  অর্জন শেষে হাঁড়ি চড়াবে আমাদের বহুমাত্রিক ভোর।  
পিড়ি পাততে পাততে আমরা কি বলবো বিবর্তন’ ?  বলবো হৃদকুসুম ?


No comments:

Post a Comment