Tuesday 10 April 2018

অরিজিৎ চক্রবর্তী




নীলতিমি

আসলে শেষ অবধি কোনো কিছুই সেভাবে বলা হয়ে ওঠে না ।
সম্পর্কের ভিতর ভিড় করা গাছের মধ্যে চাঁদের অপসূর অবস্থান এসে দাঁড়ায় । সমস্ত রাত ঘুমোতে পারিনা, নাকি ঘুমিয়ে থাকি জেগে জেগে । মৃত্যুহীন স্বপ্ন অথবা স্বপ্নহীন মৃত্যুর কোনো তফাৎ খোঁজার চেষ্টায় বেলুনের ভাসন-শর্তগুলি মনে করি !
সন্দেহ দোলায় মাথা ! কার্যকরণের দিকে একটা মানববাহী বেলুন আমাকে ভাসায় । বামনের শীর্ণ হাত নীলের গভীর থেকে চাঁদ তুলে আনে ।
রজনী গভীর হলে অস্ট্রীচের পালক লাগানো টুপিপরা সুন্দরীরা আমাকে যাচাই করার জন্য আলিঙ্গনবদ্ধ হয়ে প্রফেসনাল কার্ডলারসের
আচরণ করতে বলে । আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে দেখি, নীলতিমির রক্তবাহীনালী এতটাই বড় যে, তার ভেতর মানুষ সাঁতার কাটতে পারে ।
ডুব দিই, আশ্চর্য রক্তের স্রোতে !
যদিও আহত তিমি স্তন্যপান করায় আমাকে ।
অনুভবে বুঝি একটি ভাসমান বস্তুর আপাত                    ওজনহীনতায় আসলে শেষ অবধি কোনো কিছুই সেভাবে বলা হয়ে ওঠেনা…

No comments:

Post a Comment