আমরা থাকবো না
তাহলে কি পাখিরাই থাকবে!—আর শুধু গালে হাত দিয়ে বসে থাকা গাছ!—
প্রলাপের কন্ঠ ধরে এগুচ্ছে রাস্তা-মতি মাষ্টারের কানা গরুটার মতো;
অন্তত একটা চোখ সচল থাকলেও আমরা নির্ঘাত চুপ হয়ে যেতাম—কাঁধের জোয়াল খুলে
বিপ্লবীদের মিছিল শুনে আল টপকাতাম। ধারালো একতারার সুরে রাতভর কান্নার
পর—নিঃসঙ্গতার রঙ দিয়ে লিপে নিতাম উঠোন-পৈঠান।
সবার সয় না আসলে, পাখিদের সয়—বৃক্ষরাও ভাল বোঝে এইসব বিষয় আসয়...
তাহলে কি—মাঠ ও বন থাকবে, পাখিদের সুখনিদ্রা, বাতাসের হু হু সহ
বিষন্ন শীত থাকবে—আমরা থাকবো না?
উপহার
তোমার চোখের মায়া আমাকে দাও—ঈশ্বরের জন্মদিনে উপহার দেবো...
কাঁচভাঙার শব্দে গড়া তোমার শরীর—সহসাই গান গেয়ে ওঠে! দিতে পারো
কন্ঠস্বর—বুকের চারটি তিল—আর স্বয়ম্বর থেকে ফিরে যাওয়া ব্যর্থতম প্রেমিকের
হাতচিঠি। নখে ফোটা শাদা শাদা তিলের কারুকার্য থেকে কবিতার অক্ষর নেবো—যদি দাও,
নিতে পারি নগ্ন পা—নাচের মুদ্রাও। তোমার জগত জুড়ে গোলাপজল ছিটিয়ে গেছে মিতবাক
বিকেলের হাওয়া—আমি তো হাতখালি বোতামের দেহ হয়ে ঝুলে আছি তোমার পোষাকে।
ভয় হয়—ঈশ্বর মাতাল হলে খুলে নিতে পারে।
No comments:
Post a Comment