সূর্যোদয়
আমার যদি করো শিরচ্ছেদ,
অনর্গল পশুরক্ত
গলে যাবে তোমার
হাঁড়িকাঠ।
আমাকে যদি দাও জীবন্ত
কবর,
এঁকেবেঁকে মাটি কেটে
ঠিক ফুঁড়ে উঠব
ঘাপটি মেরে বসবো কোন
পুজোর ফুলে
তোমার দেবতা হবে
সিংহাসনচ্যুত।
যদি পুড়িয়ে দাও জীবন্ত
ছাই হয়ে মিশবো বাতাসে,
সেঁকো বিষের মতো তোমার
পাঁজর ঝাঁঝড়া করবো আমি
আমাকে যদি খাওয়াও বিষ
আমি যাবতীয় নীল ঢালবো তোমার অমৃতের কলসিতে..
আমাকে যদি ভালবাসো
তোমাকে দেখাব পৃথিবীর দশদিকেই সূর্যোদয়।
যদি কাছে আসো মেলে দাও
দু চোখ,
আমি নদী হয়ে মিশে যাব
তোমার সমুদ্রে বারবার...
দৃষ্টি
পড়ে আছে চোখ ছেঁড়া
উপত্যকায়!
ভেসে আসে প্রতিহত দিন,
শুকিয়েছে ছায়া জীবন।
বিন্যস্ত পাতায় বয়ে যায়
হাওয়া, মর্মর ধ্বনি
উল্টানো নৌকায় মাঝি
স্হির।
ডিঙা বায় অন্য জাদুকর,
ম্যাজিক দেখতে নেমে আসে
পরী।
ছুটে আসে স্পর্শ- গতরাত
থেকে অন্ধ
তার আগে সে চোখ খুঁজত
সোনার বালি,
আজ মরীচিকা দিন।
শেষ শ্বাসটুকুর জন্য
অপেক্ষা।
আজ একটা ঈগল ঢুকেছে
মণিতে....
সেলাই মেশিন
চিৎকার করে “ভদ্রলোক“
বললেন “চুপ কর।
অনেক হয়েছে, কে আছিস
ছুঁচ সুতো দিয়ে ঠৌঁট টা সেলাই করে দে। ”
সেলাই মেশিন এগিয়ে এলো।
ঘরঘরঘর। সব নিস্তব্ধ। পৃথিবী চুপ।
ভদ্রলোকের মুখে হাসি,
মিচকে হাসি হাসছে সেলাই মেশিন।
হঠাৎ ঘটাং ঘটাং শব্দ!
সবাই অবাক।
প্রেস থেকে হাজার হাজার
লিফলেট্ উড়ে পড়তে লাগল নিস্তব্ধ পৃথিবীর বুকে,
পৃথিবী আবার কথা বলে
উঠলো......
No comments:
Post a Comment